“প্রজাহিতৈষী হিসাবে একজন মহান শাসকের মূর্ত প্রতিক ছিলেন খলিফা উমর (রাঃ)” ব্যাখ্যা করো
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর (রাঃ) একদিকে যেমন ছিলেন কঠোর অন্যদিকে ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তিনি ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শে আদর্শিত এক মহাপুরুষ। প্রজাহিতৈষী হিসেবে তিনি ছিলেন একজন মূর্ত প্রতীক
“সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা হযরত উমর (রাঃ) এর খিলাফত থেকে কী কী শিক্ষা লাভ করতে পারি? তোমার পাঠ্য বইয়ের আলোক বিশ্লেষণ করো”এখানে ক্লিক করুন
অর্ধ পৃথিবী শাসন করা দ্বিতীয় খলিফা উমর (রাঃ) খুবই সহজ সরল ও অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন। খেজুর পাতায় ছিল তাঁর আসন এবং তার কোনো দেহরক্ষী ছিল না। জাগতিক লোভ-লালসা জাঁকজমকে তিনি কখনোই আসক্ত হতেন না। তারমধ্যে কঠোরতা ও কোমলতার উভয়ের সমন্বয় ঘটেছিল। শাসক হয়েও তিনি রাতের আধারের প্রজাদের অবস্থা দেখার জন্য বের হতেন। খাদ্য সামগ্রী নিজ কাঁধে বহন করে তা প্রজাদের মাঝে পৌঁছে দিতেন। তার শাসনামলে রাজ্যে কোন অভাব ছিল না। বায়তুলমাল থেকে প্রাপ্ত কাপড়ের সেই পরিবার গ্রহণ করতে যে পরিমাণ সকলের জন্য নির্ধারিত ছিল। কৃষি কাজে ব্যাপক উন্নতি সাধনের জন্য তিনি নিজ উদ্যোগে খাল খনন করেন। বিচারের মঞ্চে তিনি ছিলেন অত্যন্ত কঠোর আর এ প্রকাশ ঘটে যখন মদ্যপানের অপরাধে নিজ পুত্রকে তিনি শাস্তি দিয়েছিলেন। জনকল্যাণে তিনি অসংখ্য মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন এবং সেই সাথে সেতু, সড়ক, হাসপাতাল নির্মাণ করার মাধ্যমে তিনি প্রজাদের অসুবিধা গুলো দূর করেছিলেন। এত বড় শাসক হয়েও তিনি কখনো অহঙ্কার করতেন না আর এর প্রমাণ ঘটে জেরুজালেম যাওয়ার পথে যখন ভৃত্যকে উটের পিঠে চড়িয়ে নিজে উটের রশি ধরে টেনেছিলেন।
সুতরাং আমরা বলতে পারি প্রজাহিতৈষী প্রজাহিতৈষী হিসেবে একজন শাসকের মূর্ত প্রতীক ছিলেন খলিফা উমর (রাঃ)।